গুগল ইন্টার্ভিউ পেতে আশা করি এই পোস্টটা আপনাদের কাজে লাগবে।
হয়তোবা আজকে আমার এই পোস্টটা অনেক কেই গুগল এ যাবার স্বপ্নে নিজেকে এগিয়ে রাখবে। হয়তোবা এই পোস্ট পড়ে অনেক এই আজ থেকে ২/৩ বছর কিংবা তার থেকেও বেশী সময় পড়ে #গুগল_ইন্টার্ভিউ এর জন্য ডাকও পেতে পারে। কারণ আজকে আমি সবার সাথে এমন একটা ব্যাপারে শেয়ার করতে চাচ্ছি যেটা একসাথে অনেক বেশী ইন্টারেস্টিং সেই সাথে অনেক রোমাঞ্চকর একটা অনুভূতি। তাহলে শুরু করা যাক.......
জুরকারনাইন এর কথা সবাই জানে সে একজন গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আর তার পোস্ট গুগল এর সার্চ ইঞ্জিন এ। যেখান থেকে তার জীবনের গল্পটা শুরু হয়েছে আজ সে সেইখানকার ই একজন ইঞ্জিনিয়ার। ভাবা যায় 😊😊। সে অনেকবার গুগল এ সিভি জমা দিয়েছিল কিন্তু গুগল এ ইন্টার্ভিউ এর জন্য সে কল পায় নি কারণ গুগল এ প্রতি বছর লাখ লাখ অ্যাপ্লিকেশান জমা পড়ে। কিন্তু দিন শেষে তাকে স্বয়ং গুগল ই খুঁজে নিয়েছে আর তাকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য কলও করেছে কিন্তু সেটা কিভাবে 🤔 এটা অনেক এর কাছেই অজানা। আজ আমি এই ব্যাপার নিয়েই কথা বলবো, আশাকরি সবার আমার আজকের এই পোস্টটা ভালো লাগবে আর সেই সাথে অনেক উপকৃত হবে।
প্রশ্ন ১. গুগল ফুবার টা আসলে কি..??
উত্তর : গুগল ফুবার হলো এমন একটি মাধ্যম, যে মাধ্যম দিয়ে গুগল নিজেই খুঁজে নেয় তাদের প্রতিযোগীকে। ৫ টি ধাপ এ এই প্রতিযোগীতা হয়। কেউ যদি ৪টি ধাপ পার করতে পারে তাইলে গুগল থেকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য তাদের সাথে গুগল এর একজন রিক্রুয়েটার যোগাযোগ করবে। আর খুব খুশীর একটা নিউজ হলো, এই ইন্টার্ভিউ থেকে খুব কম মানুষ ই বাদ পড়ে। তাই এই ইন্টার্ভিউ টা একটু ভালোভাবে দিলে গুগল থেকে জব অফার করে। তাই গুগল ফুবার চ্যালেঞ্জটা সবার জন্য একটা আর্শীবাদস্বরুপ।
প্রশ্ন ২. আমি কিভাবে এই গুগল ফুবার চ্যালেঞ্জটি পেতে পারি..??
উত্তর : গুগল ফুবারটা আসলে গুগল এর একটি সিক্রেট মাধ্যম। গুগল নিজে থেকে কাউকে নিমন্ত্রণ না জানালে, এই খানে সংযুক্ত হওয়া যায় না। তাই বলা যেতে পারে যে, গুগল নিজে থেকেই তাদের প্রতিযোগীকে খুঁজে নেয় আর তাদের কাছে রিকুয়েস্ট পাঠায়, গুগল সার্চবারে। যদি আপনাকে কখনো তারা রিকুয়েস্ট পাঠায় তাইলে আপনি আপনার গুগল সার্চবারে একটা পপ কর্ণ দেখতে পাবেন। তাই আপনি কখনোই নিজে থেকে এই খেলায় অংশ নিতে পারবেন না, যতোসময় পর্যন্ত গুগল থেকে কোন নোটিফিকেশন না পাবেন।
প্রশ্ন ৩: ফুবার চ্যালেঞ্জটা পাওয়ার জন্য আসলে কি কি ফলো করা যেতে পারে..??
উত্তর : ফুবার চ্যালেঞ্জটা যেহেতু গুগল নিজে থেকেই তাদের নির্ধারিত মানুষদের জন্যই দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে তারা এই মানুষগুলোকে বেছে নেয়, গুগল সার্চবার এর সাহায্যে। আমরা অনেক এই বিভিন্ন অনুসন্ধান মূলক কাজে গুগল সার্চবার ব্যবহার করি। কোন প্রব্লেম এ পড়লেই আমরা গুগল সার্চবারে গিয়ে সার্চ করি। আর হ্যাঁ গুগল এটাকেই ব্যবহার করছে আজ ৫ বছর ধরে, তাদের লোক নেওয়ার কাজে। তারা তাদের সার্চবারে দেখে কোন কোন মানুষ প্রোগ্রামিং সমন্ধে বা প্রোগ্রামিং রিলেটেড প্রব্লেম গুলো সব থেকে বেশী গুগল এ সার্চ করেছে। তারা অনেকদিন ধরে এইগুলা লক্ষ্য করে, তাদের মধ্যে থেকে যাদের মনে হয়, এরা প্রোগ্রামিং সমন্ধে বা এদের প্রতিযোগিতায় নেওয়া যায় বা এরা আসলেই কিছু হলেও জানে গুগল তাদেরকেই খুঁজে নিয়ে তাদের সার্চবারে এই কনটেস্ট টা সেন্ড করে দেয়। যেখানে ৩ টি অপশান থাকে, প্রথমটা ইন্টারেস্ট সেকেন্ডলি নট ইন্টারেস্ট আর থার্ড হলো ডন্ট শো দিস পেইজ এগেইন।
প্রশ্ন ৪: গুগল থেকে ফুবার অনুরোধ পাবার পরের ধাপ গুলো..?
উত্তর : আগেই বলেছি গুগল এর ফুবারটা আসলে একটা চ্যালেঞ্জ। এটা একটি প্রোগ্রামিং চ্যালেঞ্জ। যদি কেউ এই চ্যালেঞ্জটা গুগল থেকে পেয়ে থাকে তাইলে প্রথমে তাকে, চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে হবে। তবে এইগুলা সাধারণত UNIX কমান্ড দিয়ে করতে হয়। তার মানে UNIX কমান্ড ব্যবহার করে প্রথমে ফ্লোডার অ্যাক্সেস করতে হবে সেই সাথে আপনি তখন থেকে সব ফ্লোডার দেখতে পাবেন, UNIX কমান্ড এর মাধ্যমে কমান্ড এ গিয়ে request কমান্ড লিখার সাথে সাথেই তাদের কাছে অনুরোধ চলে যাবে আর চ্যালেঞ্জটাও অ্যাকছেপ্ট হয়ে যাবে। তার পরের ধাপটাই হলো ধাপ ১. ধাপ ১ এ গেলে তারা আপনাকে একটা প্রশ্ন করবে। যেই প্রশ্নটা অনেক সহজ। আপনি প্রোগ্রামিং সমন্ধে জানলে সেই প্রশ্নের উত্তর সাথে সাথেই দিতে পারবেন। তবে তারা আপনাকে দুই দিন সময় দিবে উত্তর দেবার জন্য। আর এইখান থেকে প্রশ্ন সাধারণত করে থাকে ম্যাথ + গ্রাফ এর উপরে।
ধাপ ২ : দুই নাম্বার ধাপ, প্রথম ধাপ থেকে হাই। এইখানে প্রশ্ন থাকবে দুইটি, যার সময় থাকে প্রতিটি প্রশ্ন এর জন্য ৩ দিন। এই খানে একটা মজার ট্রিক হলো, আপনি এই ধাপ থেকে আপনার কোন বন্ধুকে হায়ার করার সুযোগ পাবেন 😛 তারা আপনাকে একটা লিংঙ্ক দিবে, সেই লিংঙ্ক আপনার বন্ধুকে সেন্ড করলে সেও আপনার সাথে যুক্ত হতে পারবে। এই ধাপে সাধারণত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, অ্যালগরিদম, স্ট্যাকওভার ফ্লোতে প্রোগ্রামিং, রৈখিক বীজগণিত।
ধাপ ৩: আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, গুগল এর প্রতিটি ধাপ বা ফুবার চ্যালেঞ্জ এর প্রতিটি ধাপ, প্রতিটি ধাপ এর থেকে বেশী চ্যালেঞ্জিং। তাই আপনাকে এখন থেকে কঠিন প্রোগ্রামিং বা প্রতিযোগিতামূলক
ধাপ ৪: এই ধাপ এ এসে তারা আপনাকে সময় দিবে ২ সপ্তাহ তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য। এই ধাপ এ সাধারণত প্রশ্ন গুলা থাকে, multiple concepts, number theory to grap। এই ধাপটা ৩ নাম্বার ধাপ এর থেকে কঠিন হবে তবে যদি আপনার প্রোগ্রামিং সমন্ধে অনেক ভালো জানা থাকে তাইলে আপনি সমধান করে দিতে পারবেন। সাধারণত ৪টা ধাপ পার করতে পারলেই গুগল থেকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য কল করে থাকে।
ধাপ ৫: এই ধাপ এ প্রশ্ন গুলো পুরাই ম্যাথমেটিক্যাল রিলেটেড। আপনাকে তাদের প্রশ্ন এর জন্য ৩ সপ্তাহ সময় দিবে তারা। এই খানে সাধারণত প্রশ্ন গুলা এই রিলেটেড থাকে, permutation, polya counting theorems, group theory. প্রশ্ন গুলা জটিল থাকে তবে চেষ্টা + চিন্তা করলেই প্রশ্ন গুলার উত্তর দেওয়া যায়। যদি আপনার মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থেকে থাকে আর সেই সাথে চিন্তা করার শক্তি তাইলে আপনি এই রাউন্ড এও জিততে পারবেন। আর জিতার সাথে সাথেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে গুগল এর একজন রিক্রুয়েটার, যদি আপনি গুগল এ ইন্টার্ভিউ দিতে আগ্রহী থাকেন তাইলে তারা আপনাকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য কল করবে।
প্রশ্ন ৫: তাহলে ভাইয়া ধরে নিব কি, যদি আমি প্রোগ্রামিং রিলেটেড কিছু গুগল সার্চবারে সার্চ করে থাকে প্রতিদিন তাইলে কি আমি এই অফার পাব..?
উত্তর : যদি আপনার ভাগ্য ভালো থাকে তাইলে অবশ্যই পাবেন। যারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বা যারা ডেভোলপার তারা মেক্সিমাম সময় ই তাদের কাজ এর জন্য তাদের কম্পিউটার এর উইন্ডো খোলা রাখে কারণ তাদের মেক্সিমাম টাইম এই জটিল জটিল জিনিষ সমাধান করতে হয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে সমাধান এর ওয়ে খুঁজার জন্য গুগল বা অন্যকিছুতে সার্চ করে। যেটা জুলকারনাইন ও করেছিল। গুগল তাদের সমস্যা + এক্টিভিটিস গুলা দেখে আসলে তাদের সিলেক্ট করে। তবে সবসময় সবার জন্য এটা খাটবে না তার কারণ প্রোগ্রামিং প্রব্লেম এর লেভেল দেখেই গুগল বুঝে যায় তাদের টার্গেটদের কে। তাই সসবসময় করলে শুধু করাই হবে, তবুও এটার ও একটা সহজ ট্রিকস আছে যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। চলে যান এই লিংঙ্কে ( foobar.withgoog
অনেক কষ্টে আমি এই লেখা গুলা লিখি, শুধুমাত্র আপনাদের কথা ভেবে। আমার কোন কথা বা আমার কোন ট্রিকস বা আমার কোন সমাধান যদি আপনাদের এক চুল পরিমাণ কাজে লাগে তাইলে নিজেকে সার্থক বলে মনে হয়।
No comments:
Post a Comment